নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারের নয়নাভিরাম মেরিন ড্রাইভ ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আলট্রা ম্যারাথন ইভেন্ট “কোস্টাল আলট্রা ২০২৫” সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি দেশের দীর্ঘতম আলট্রা ম্যারাথন। “সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পরিচ্ছন্ন উপকূল, টেকসই উন্নয়ন এবং সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের বার্তা ছড়াতে এই ম্যারাথন এর আয়োজন করা হয় ।
৪টি ক্যাটাগরিতে কোস্টাল আলট্রা ২০২৫-এ দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে যার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল (১৬১ কিলোমিটার), ও ২০০ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের যোগ্যতা পূরণ করে বাছাইকৃত দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ এই ইভেন্টে অংশ নেন।
এই প্রতিযোগিতার ৫০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশ নেন সৈয়দ আবু জায়েদ হোসেন, যিনি একনিষ্ঠ ম্যারাথন রানার। প্রথমবারের মতো আলট্রা ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তিনি ৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে দৌড় সম্পন্ন করেন। এর আগে তিনি ৪টি ফুল ম্যারাথন, ৩টি ২৫ কিলোমিটার রান, ৮টি হাফ ম্যারাথন এবং অসংখ্য ফান রান সম্পন্ন করেছেন। তবে ৫০ কিলোমিটার আলট্রা ম্যারাথন তার জন্য ছিল নতুন এক চ্যালেঞ্জ, যা তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
কোস্টাল আলট্রা ২০২৫ শুধু দৌড় প্রতিযোগিতা নয়, এটি ছিল সীমা ভাঙার এক অনন্য সুযোগ। এ বিষয়ে সৈয়দ আবু জায়েদ হোসেন অনুভতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটি আমার জীবনের প্রথম আলট্রা ম্যারাথন, আর অভিজ্ঞতাটি অবিস্মরণীয়। দৌড়ের পুরো পথজুড়ে ছিল নীল সমুদ্রের নয়নাভিরাম দৃশ্য, যা আমাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই অর্জন আমাকে ভবিষ্যতে আরও বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করবে।”
আয়োজকরা বলেন, আলট্রা ম্যারাথন শুধু শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নয়, বরং মানসিক দৃঢ়তা, ধৈর্য এবং সংকল্পের এক কঠিন পরীক্ষা। এই অভিজ্ঞতা দৌড়বিদদের শুধু দৌড়ের মাঠেই নয়, ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং পেশাগত জীবনে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতা গড়ে তোলে।
কোস্টাল আলট্রা ২০২৫ কেবল বাংলাদেশের দীর্ঘতম আলট্রা ম্যারাথনই নয়, এটি একজন দৌড়বিদের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর অন্যতম মঞ্চ। সৈয়দ আবু জায়েদ হোসেনের এই সাফল্য নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের দৌড়বিদদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।