রাজনৈতিক দল হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এছাড়াও আপিল বিভাগের রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়েছে।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। এতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের অংশগ্রহণের বিষয়ে আর কোনো বাধা রইল না। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের পর নির্বাচনে ফের সক্রিয় হচ্ছে দলটি।

আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।

জামায়াতের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা দলটি ফেরত পাবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিষয়ে পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ বলেছেন, প্রতীকের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।

১৪ মে শুনানি শেষে আজ এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতির আবেদন) ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ করেন আপিল বিভাগ।

গত বছরের আগস্টে ওই আপিল পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ২৮৬ দিনের বিলম্ব মার্জনা চেয়ে জামায়াতের পক্ষে দুটি লিভ টু আপিল করা হয়। এরপর ২২ অক্টোবর বিলম্ব মার্জনা মঞ্জুর করে আপিল পুনরুজ্জীবিত করলে নিবন্ধন ফিরে পেতে দলটির আইনি লড়াইয়ের পথ উন্মুক্ত হয়। পরে পাঁচ কার্যদিবস শুনানি হয়।

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ।

একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে দলটি। তবে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পরপরই তা স্থগিত চেয়ে জামায়াত আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর চেম্বার জজ আদালত।

এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *