বিবাহের নামে প্রতারণা নারী পাচারকারীদের আইনের আওতায় এনে মাকে উদ্ধারের আবেদন নাঈমের

নিজস্ব প্রতিনিধি: পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার তুষখালী গ্রামের রফিকের ছেলে মোঃ নাঈম গত ১৫-০৪-২০২৫ইং তারিখ মুগদা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে এবং গত ২৩/০৪/২০২৫ইং তারিখে বিবাহের নামে প্রতারণা করে নারী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বরাবরে পোষ্ট এর মাধ্যমে লিখিত আবেদন করেন। নাঈমের বর্তমান ঠিকানা ৭৭/২ পূর্ব মানিকনগর ফজল সাহেবের বাড়ি (২য় তলা), পোষ্ট: ওয়ারী, থানা: মুগদা, জেলা: ঢাকা।
আবেদনে নাঈম জানায়, মোঃ রুহুল আমিন, পিতা: মৃত. আকবর আলী, মাতা: রিজিয়া বিওয়া, সাং- চিরই, পোষ্ট: নতুন বাজার, থানা: চাটমোহর, জেলা: পাবনা, বর্তমানে গাজীপুর, মোছাঃ রুবি আক্তার, পিতা: মোঃ তাইজুল বাদশা, মাতা: মরিয়ম, সাং- চন্ডিপুর, পোষ্ট: সরজগঞ্জ, থানা: সদর, জেলা: চুয়াডাঙ্গা, মোঃ নূরুন নবী, পিতা: কছর উদ্দিন, মাতা: হালিমা খাতুন, সাং- ইটাহাটা, থানা: বাসন, জেলা: গাজীপুর, মোঃ হাবিবুল, পিতা: মৃত. জব্বার আলী, মাতা: হাফিজা বেগম, সাং- চরপাড়া, পোষ্ট: অষ্টমনিষা, থানা: চাটমোহর, জেলা: পাবনা ও মোঃ সাজু, পিতা: মোঃ আককাছ আলী, মাতা: ফিরোজা, সাং- নওজোর, পোষ্ট: কর্ড্ডাবাজার, থানা: বাসন, জেলা: গাজীপুর তারা একটি সংঘবদ্ধ নারী ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারীচক্র।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নাঈম বলেন, তারা আমার মা নূপুরকে পূর্ব থেকেই টার্গেট করে। আমার মা গুলিস্তান সিদ্দিকবাজার লোকাল একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন। সেই সুবাদে রুবি আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। মোছাঃ রুবি আক্তার সলাপরামর্শ দিতে থাকেন। সলাপরামর্শ দিয়ে মোঃ রুহুল আমিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে দেন। বিষয়টি আমার পিতা রফিক জানতে পারলে আমার মা নুপূর এবং পিতা রফিক এর সাথে মনোমালিন্য হয়। আমার পিতা একজন রিক্সাচালক। রিক্সা চালিয়ে আমাদের সংসার চালাতেন। তাদের কু-পরামর্শে এবং বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখালে মা আর্থিক লোভে পড়ে যায়। আমার পিতার কথা শোনেন না। এভাবে দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে সর্ম্পক চলতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার পিতা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে ব্রেন স্ট্রোক করে বাক প্রতিবন্দী হয়ে যায়। বর্তমানে আমার পিতা রফিক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা দুই ভাই-বোন। বড় বোনের বিবাহ হয়েছে। আমার মা নারী পাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ায় এখন আমার বোনের সংসারও ভাঙ্গার পথে। আমার বাবা জীবিত থাকাবস্থায় কোন প্রকার ডিভোর্স না দিয়ে আমার মা বিবাহের কাবিনে উল্লেখ করেন বিধবা। মোঃ রুহুল আমিন জানতেন আমার পিতা মোঃ রফিক জীবিত আছেন অন্যদিকে মোঃ রুহুল আমিনের স্ত্রী-সন্তান থাকাসত্বেও কাবিন নামায় নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে দাবী করেন। মোঃ নূরনবী, মোঃ হাবিবুল, মোঃ সাজু বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা হলেও তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। গত ১২-০৪-২০২৫ইং তারিখ রোজ শনিবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ঘটিকার সময় আমার মা মোছাঃ নুপূরকে ৭৭/২ পূর্ব মানিকনগর ফজল সাহেবের বাড়ী ২য় তলা জামালের সাবলেট ভাড়াটিয়া বাসা থেকে বের হয়ে মানিকনগর বিশ্বরোড গেলে মোঃ রুহুল আমিনসহ পাচারকারীচক্রটি তুলে নিয়ে যায়। গত ১৭-০৪-২০২৫ইং তারিখ মোঃ রুহুল আমিনের সাথে মিথ্যা বিবাহ হয়। আমার মাকে তুলে নেওয়ার পর থেকে অদ্যবধি আমার মায়ের মোবাইল নাম্বার বন্ধ রয়েছে। গত ১৫-০৪-২০২৫ইং তারিখে মুগদা থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি তারা একটি নারী ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী চক্র। তারা ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারী পাচার করে। তাই আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং আমার মাকে ফেরত পেতে আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *