পরকীয়ার টানে ৪ বছরের সন্তান রেখে টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরকীয়ার টানে ৪ বছরের সন্তান রেখে স্বামীর টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে ঘর ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিকের ঘরে শিফা আক্তার নামে এক গৃহবধু। শুধু পালিয়ে গিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি বরং স্বামী সন্তানকে হত্যার হুমকিসহ মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি এলাকায়। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী স্বামী মোঃ ইকবাল হোসেন ন্যায় বিচারের আশায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়াও এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ ও আবেদন সূত্রে জানা যায়, মোঃ ইকবাল হোসেন, পিতা- মিজানুর রহমান, মাতা- রুমি আক্তার, সাং- মিজমিজি, পোঃ মিজমিজি- ১৪৩০, নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, নারায়াণগঞ্জ এর সাথে শিফা আক্তার, পিতা- মোতালেব, মাতা- মমতাজ বেগম, সাং- মধ্য আকালিয়া, পোঃ বাতাকান্দি, থানা- তিতাস, জেলা- কুমিল্লার ২০১৯ সালে পারিবারিকভাবে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর সংসার জীবন বেশ কিছুদিন সুখেই কাটছিল। ইকবাল হোসেন দম্পতির একটি পুত্র সন্তান হয়। এরপর সংসারে নেমে আসে অশান্তির ঝড়। মোঃ ইকবাল হোসেনের স্ত্রী শিফা আক্তার ছোটন ভূইয়া নামে এক ব্যাক্তির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি তার কর্মস্থল থেকে আসলে সিফা আক্তারের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। শিফা আক্তার সর্বদা খারাপ ব্যবহারসহ মানসিক নির্যাতন করতেন মোঃ ইকবাল হোসেনকে। তিনি কর্মস্থলের কাজে বের হলে শিফা আক্তার অন্য পুরুষ ঘরে এনে রঙ্গলীলায় মেতে থাকতেন। গত ২৩/১০/২০২৪ইং তারিখ বেলা আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মিজমিজি দক্ষিণপাড়া আফজাল সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঘরে থাকা নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা এবং কাপড়-চোপড়, মালামাল ও শিশু সন্তানকে নিয়ে ছোটন ভূঁইয়ার সাথে চলে যায় স্ত্রী শিফা আক্তার।
মোঃ ইকবাল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, শিফা আক্তার যাওয়ার পরে তার বোনের স্বামী মোঃ বিল্লাল ও বোন রিমা আক্তার সহযোগিতা করে রাজধানীর ডেমরাস্থিত স্টাফ কোয়ার্টারে বাসা নিয়ে দেয়। সে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকাসহ মালামাল ও সন্তান নিয়ে চলে যাওয়াতে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি অভিযোগ দায়ের করি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই সামাদ ঘটনাটি তদন্ত করেন। পরবর্তীতে জানতে পারি, শিফা আক্তারের পরকিয়া স্বামী ছোটন ভূঁইয়ার ভাই মোঃ আবুল বাদশা, বাবা দেলোয়ার হোসেন, মা রানু এবং শিফা আক্তারের বাবা মোতালেব, বোন জামাই বিল্লাল ও বোন রিমা মিলে ছোটন ভূঁইয়া ও শিফা আক্তারকে পরকীয়ার সহযোগিতা করেন এবং টাকা মালামাল নিয়ে পালানো ও বাসা ভাড়া নিয়ে দেওয়ার সহযোগিতাও করেন। শিফা আক্তার আমাকে কোন প্রকার ডির্ভোস না দিয়ে মাননীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নোটারি পাবলিকের কার্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ বিবাহের হলফনামা মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ করেন। আমি আমার ০৪ বছরের সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শিফা আক্তারকে পুনরায় ফেরত আনি এবং শিফা আক্তারের মত অনুযায়ী গত ১৯/০১/২০২৫ইং তারিখে ছোটন ভূঁইয়াকে ডিভোর্স দিয়ে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়, ঢাকা বাংলাদেশ হলফনামা অন্তে বিবাহ করে ঘরে ফিরিয়ে আনি। ঘরে ফিরিয়ে আনার কিছুদিন পরে আবারো তালবাহানা শুরু করে। আমি আমার ০৪ বছরের সন্তান ইমাম হোসেনের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলিনি। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে গত ০৪/০৪/২০২৫ইং তারিখে অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় পুনরায় ১,৬৫,০০০/- (এক লক্ষ পয়ষাট্টি হাজার) টাকা ও গলার ০৮ আনা ওজনের চেইন, পায়ের একজোড়া নূপুর (৬,৭০০ টাকায় ক্রয় করা) এবং আমার বাসার পাশের বাড়িওয়ালির হাতের ০১টি আংটি নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আংটির জন্য পাশের বাড়িওয়ালিকে ১৪,০০০/ (চৌদ্দ হাজার) টাকা জরিমানা দেই। আমি ঘটনাটি শিফা আক্তার ও তার পরকিয়া স্বামীর পরিবারকে জানালে, তারা আমাকে হুমকি প্রদান করে বলে, “উক্ত বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো তাহলে একেবারে জানে শেষ করে দিব। যেমনে আছোছ তেমনি থাক কাউকে কিছু বলিস না।” ছোটন ভূঁইয়া ও শিফা আক্তার কে আমার ০৪ বছরের শিশু ইমাম হোসেনের জন্য অনুরোধ করলে তারা বলে, “বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে ও তোর সন্তানকে দুনিয়া থেকে চির বিদায় করে দিবো। তোকে ও তোর সন্তানকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিলে আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো বলে হুমকি প্রদান করে।” তারা যেকোনো সময় আমাকে ও আমার সন্তানকে গুম, খুন, অপহরণ এবং আমার নামে যেকোনো মিথ্যা মামলা করতে পারে। দেশে পুরুষ নির্যাতন আইন না থাকায় এভাবে আমি নির্যাতিত হচ্ছি। আমার শিশু সন্তান আজ মা ছাড়া অসহায় এবং ছোটন ভূঁইয়ার পরকীয়ায় নির্যাতনের শিকার। বর্তমানে আমি ও আমার শিশুসন্তান চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার চাই।

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *