নিজস্ব প্রতিনিধি : লন্ডন প্রবাসীর পরিচয়ে বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, প্রতারণা-জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে নারায়নগঞ্জের সৈয়দপুরের আব্দুর রব মিয়ার মেয়ে মেহেরুন নেছা মাধবীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে মেহেরুন নেছা মাধবী মদনপুরের কাশিপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি ভাড়া বাড়ীতে থাকেন। প্রথমে নিজেকে লন্ডন প্রবাসীর পরিচয় দিয়ে সম্পদশালী ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী ও প্রবাসী পুরুষদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে গড়ে তুলেন সখ্যতা। প্রথমে টার্গেট নিশ্চিত করে তিনি ধীরে ধীরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নিজ দেহের সৌন্দর্য ও কথার মারপ্যাঁচে আটকে ফেলে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে। বিয়ে করে কিছুদিন পর সেই স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া এবং তার কাছ থেকে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে বাড়ি-গাড়ি হাতিয়ে নেওয়াই তার ব্যবসা। তার ফাঁদে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। কখনো কখনো একজন স্বামীকে তালাক না দিয়েই অন্য স্বামীর সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেন এই মেহেরুন নেছা মাধবী।
সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে ব্যবসায়ী মোঃ রবিউল আলম এর সাথে বিয়ে হয় মেহেরুন নেছা মাধবীর। স্বামী রবিউল আলমের অর্থ আত্মসাত করে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। রবিউলকে তালাক না দিয়েই গত ৭ই জানুয়ারী, ২০২৫ইং তারিখে বিয়ে করেন সৌদি প্রবাসী মানিকগঞ্জের আবুল হাশেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে।
এ বিষয়ে রবিউল আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মেহেরুন নেছা মাধবীর সাথে আমার পরিচয় হয় আমার ফার্মেসীর দোকানে। সেখান থেকে সম্পর্কের এক পর্যায়ে আমাদের বিয়ে হয় ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে। তার সাথে সম্পর্কে শুরু থেকেই সে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন বাহানায় টাকা ধার নিতে। কিন্তু বিয়ের পরে আমি লক্ষ করি আমার সাথে বিয়ের পরও সে তেজগাঁওয়ের মোঃ মনির হোসেন, খুলনার ইলিয়াছ, কাওরান বাজারের মোঃ নাঈমসহ বিভিন্ন পুরুষের সাথে সে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এ বিষয়ে তাকে বাঁধা প্রদান করায় তার কথিত ভাই মোঃ মজিবরকে সাথে নিয়ে আমাকে মারধর করে এবং আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। বর্তমানে আমি মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে পলাতক জীবন যাপন করছি।
এ বিষয়ে মেহেরুন নেছা মাধবীকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।