নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ধরছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রবাসী মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর স্ত্রী মোছাঃ রুমা বেগম তার ৩ ছেলেমেয়ে নিয়ে নিজ বাসা সাং- বার চান্দুরা, ০৫নং আন্দিউড়া ইউপি, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ এ বসবাস করে আসছিল। পাশের বাড়ির মোঃ সাঈদ মিয়ার ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩৬) মোছাঃ রুমা বেগমকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হলে রুমা বেগমকে মোঃ বিল্লাল হোসেন তার ভাই মোঃ ফুল মিয়া ও বোন মোছাঃ আছমা বেগম সহযোগীতায় ধর্ষণ করে এবং বর্তমানে মোঃ বিল্লাল হোসেন আত্মগোপনে থাকলেও মোঃ ফুল মিয়া দিব্যি চলাফেরা করছে। অন্যদিকে আত্মগোপনে থেকে বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে মোঃ বিল্লাল হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১১টার সময় ব্যুরো বাংলা অফিসে রুমা বেগম তার জমানো সঞ্চয়ের টাকা উঠানোর জন্য গেলে মাধবপুর পৌরসভার ০৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম মাধবপুর সাকিনস্থ ব্যুরো বাংলা অফিসের সামনে পাকার রাস্তার উপর পৌছা মাত্র বিবাদী মোঃ বিল্লাল হোসেন অপর বিবাদী মোঃ ফুল মিয়া ও মোছাঃ আছমা বেগমদ্বয়ের সহযোগীতায় জোরপূর্বক অপহরণ করে ঘটনাস্থলের পাশে হালিমা ভবনের ২য় তলায় একটি কক্ষে নিয়া যায়। একপর্যায়ে মোঃ ফুল মিয়া ও মোছাঃ আছমা বেগমদ্বয় হালিমা ভবনের ২য় তলার কক্ষ হইতে বাহিরে চলে যায়। তখন বিবাদী মোঃ বিল্লাল হোসেন রুমা বেগমকে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য প্রস্তাব দেয়। মোঃ বিল্লাল হোসেন এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিবাদী জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং উক্ত রুমে রুমা বেগমকে আটক রাখে। পরবর্তীতে গত ১৪/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখ রাত ০৮.৩০টার দিকে মোঃ বিল্লাল হোসেন বাথরুমে গেলে রুমা বেগম বাথরুমের দরজা বাহির থেকে লাগিয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। আটক থাকাবস্থায় মোঃ ফুল মিয়া ও মোছাঃ আছমা বেগম বিবাদী মোঃ বিল্লাল হোসেনকে ফোন করে বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ দিতে শুনেছে রুমা বেগম।
ধর্ষণের শিকার রুমা বেগম জানায়, বিবাদী মোঃ ফুল মিয়া ও মোছাঃ আছমা বেগম দ্বয়ের কু-পরামর্শে বিবাদি মোঃ বিল্লাল হোসেন আমাকে গত ১১/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ থেকে ১৪/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৮.৩০ টা পর্যন্ত উক্ত কক্ষে আটক রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। আমি হালিমা ভবনের ২য় তলার কক্ষ থেকে বের হয়ে একটি সিএনজি অটোরিক্স যোগে বাড়ীতে চলিয়া আসি এবং বিষয়টি সাক্ষীসহ পরিবারের লোকজনদের অবগত করি এবং ১৫/০২/২০২৫ইং তারিখে মামলা দায়ের করি যার মামলা নং- ২২/৬৪। মামলা করার পর থেকে আসামীগণ আমাকে প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। ২নং আসামী মোঃ ফুল মিয়া মাধবপুর বাজারে ব্যবসা করছে প্রকাশ্যে এবং তার বাড়িতেই অবস্থান করছে বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. মুকুল কে জানালে তিনি বলেন, ২নং আসামী ধরা যাবে না। বর্তমানে আমি খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছি।
এস. আই. মুকুল এর কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ওসি সাহেব ভালো জানেন, আমি কিছু জানি না বলে ফোনটি কেটে দেয়।