ডলার ধরে রাখার প্রবণতা বন্ধে নতুন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

অর্থনীতি ডেস্ক: রপ্তানিকারকদের ডলার ধরে রাখার প্রবণতা বন্ধে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে রপ্তানি আয়ের অর্থ দেশে আসার পর তা দিয়ে আগের ব্যাংকের দায় শোধ করতে হবে। এরপর রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটায় যে পরিমাণ রাখার কথা তা রেখে অতিরিক্ত যে ডলার থাকবে সেগুলো গ্রাহক এক মাসের মধ্যে টাকায় রূপান্ত না করলে এক মাস পর ব্যাংক নিজ থেকে সমপরিমাণ টাকা গ্রাহকের হিসাবে দিয়ে ডলার অন্যত্র ব্যবহার করতে পারবে। বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে ও অন্য রপ্তানিকারকদেরকে এলসি খোলার সুযোগ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, রপ্তানিকারকরা এখনও ডলার ধরে রাখছেন। ফলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়লেও বাজারে সে হারে ডলারের প্রবাহ বাড়ছে না। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই পদক্ষেপ নিয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে রপ্তানি আয়ের ডলার দেশে আসার পর তা থেকে আগে ব্যাংক তার ব্যাক টু ব্যাক এলসির দেনা শোধ করবে। এরপর ব্যাংকের অন্যান্য দায় শোধ করবে। বাকি ডলার গ্রাহকের থাকবে। রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা বাবদ প্রাপ্ত ডলার রেখে বাকি ডলার যদি গ্রাহক ৩০ দিনের মধ্যে খরচ না করে তা হলে ব্যাংক নিজ উদ্যোগে ৩০ দিন পর ওইসব ডলার গ্রাহকের হিসাবে সমপরিমাণ টাকা দিয়ে ডলার অন্যত্র ব্যবহার করতে পারবে। এদিকে অপর এক সার্কুলারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর গ্রাহকের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার লেনদেনের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধি-নিষেধ আরও শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলো নিয়মের মধ্যে থেকে প্রতিটি লেনদেনই ডলারের দামে হেরফের করতে পারবে।

আগের মতো বিধিনিষেধ থাকবে না। আগে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে দিনে দুই দফায় দর পরিবর্তন করতে পারত। এখন থেকে প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে দর পরিবর্তন করতে পারবে। বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার বেচাকেনায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *