চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খানের বিরুদ্ধে পলিথিনের গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি ও ড্রাইভারকে হেনস্তার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : ঘটনাসূত্রে জানা গত ১৫ই এপ্রিল রাত অনুমান ১১ঃ৩৫ ঘটিকার সময় চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খান তার সঙ্গীয় মোঃ সোহেল আকন্দ ও অজ্ঞাতনামা অন্য আর একজন সহযোগী নিয়ে বক্সীবাজার এলাকা থেকে একটি পলিথিন ভর্তি সিএনজিকে ফলো করে যাত্রাবাড়ি থানাধীন কাজলা বড় বাজার সংলগ্ন রংধনু মার্কেটের পাশে এসে আটক করে।ড্রাইভার মোঃমজিবর হোসেন গাড়ীটি পাশে দাঁড় করে আটককারীদের পরিচয় জানতে চাইলে চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খান তাকে তার পরিচয় দিয়ে পলিথিন আনা-নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। এক পর্যায়ে তাকে পলিথিন এর মালিক মোঃ জলিলকে ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধান করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় (জলিলের বক্তব্য অনুযায়ী)জলিল তার ব্যক্তিগত মুঠোফোন থেকে ড্রাইভার কে বলেন সাংবাদিকদের একটা খরচ হিসাবে ১০০০টাকা দিয়ে দিতে বলেন।কিন্তু সবুর খান ১০০০ টাকা নিবে না টাকা বেশি দিতে হবে নাহলে গাড়ী থানায় চলে যাবে বলে ড্রাইভার এর ফোন থেকে মালিক জলিল কে হুমকি দিতে থাকেন।জলিল দূরে আছেন বললে সাংবাদিক সবুর খান তাকে ১লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব জানান এবং বলেন না হলে আপনারই ক্ষতি। এমতাবস্থায় ঐখানের এক দোকানদারের মাধ্যমে পলিথিন আটকানোর তথ্য পেয়ে আমাদের কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার গাজী রফিকুল ইসলাম রনি তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান।তিনি দেখেন চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খান তার সঙ্গীয় ২জন ব্যক্তিকে নিয়ে রংধনু মার্কেটের সামনে একটি সিএনজি আটক করে রেখেছেন।এমন সময়ে জাতীয় সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার রিপোর্টার সুইটি সিনহা তার বাসায় গমন কালে ঘটনাস্থল থেকে অনুমান (১০০ গজ সামনে) গমন কালে রফিকুল ইসলাম রনি সুইটি সিনহার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় ডাক দেন। সেখানে গিয়ে সুইটি সিনহা দেখতে পায় সোহেল আকন্দ নামের ফটোজার্নালিস্ট রফিকুল ইসলাম রনি এর সাথে তর্কে জড়ায়।তখন বিষয়টি অবগত হয়ে সংবাদকর্মী সুইটি সিনহা চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খানকে বলেন যেহেতু এই সিএনজিতে পলিথিন আছে আর যা নিষিদ্ধ তো আপনি প্রশাসনকে অবগত করেন এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে তথ্যটি নিশ্চিত করুন।সাংবাদিক সবুর তখন বলেন তিনি পলিথিনের মালিকের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে অবগত করেছেন।পুলিশ আসছেন।কিছু সময় পরে সবুর পুলিশকে পুনরায় কল দেন এবং পুলিশ তাকে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরে লোক বা ভ্রাম্যমান আদালত সেখানে গেলে যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ তাদেরকে সহযোগিতা করবেন।এছাড়াও তাদেরকে থানা থেকে জানানো হয় পুলিশের কয়েকটি টিম হত্যা মামলার আসামী সহ বিভিন্ন অভিযানে ব্যস্ত রয়েছেন।ড্রাইভার মজিবর এর সামনে হওয়া এসকল কথোপকথন শুনে তিনি নিশ্চিত হন পুলিশকে অবগত করা ছাড়াই এখানে তিনি ও তার পলিথিন বহনকারী সিএনজিটি জোরপূর্বক সাংবাদিক সবুর ও তার সঙ্গীয় সোহেল গং রা আটক করে রেখেন।ফলশ্রুতিতে তিনি গাড়ীটি চালিয়ে চলে যেতে গেলেই সাংবাদিক সবুর,সোহেল গং রা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দিয়ে গাড়ী বন্ধ করতে বলে।গাড়ী ২-৩ বার চালিয়ে চলে যেতে গেলে ড্রাইভার মজিবরকে শার্টের কলার ধরে নামিয়ে অপমান অপদস্ত করেন এই সাংবাদিক সবুর গং।প্রায় ১.৫ ঘন্টা যাবত এমন সম কর্মকান্ড চলতে দেখে এবং ৫০উর্ধ্ব ড্রাইভারকে বাজে ভাবে অপমান ও গায়ে হাত তুলতে দেখে সাংবাদিক সুইটি সিনহা চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খানকে বলে আপনি নিউজ এর স্বার্থে এখানে এসেছেন তো নিউজ করেন অন্যায় ভাবে একজন প্রবীন ব্যক্তিকে হেনস্থা কেন করছেন? প্রশাসন আসবে না জেনেও দীর্ঘ ২ঘন্টা আপনি গাড়ীকে আটকে রেখেছেন।৭০-৮০জন স্থানীয় লোক জড় হয়ে গিয়েছে এগুলি আপনি কেন করছেন।হয় আপনি গাড়ী থানায় দিয়ে দেন ও প্রয়োজনে জনস্বার্থে আপনি মামলার বাদী হয়ে পলিথিন এর বিরূদ্ধে অবস্থান করুন।কিন্তু এভাবে আপনি গাড়ী আটকে রাখায় আপনার ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে ছাড়া আর কিছু নয় এ কথা বলায় চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খান এর উদ্দেশ্য যেন আলোর দেখাই পেলো না।দফায় দফায় মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে চাঁদাবাজি করার যে জোর চেষ্টা ছিলো সেটা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হলো।তখন মস্তিষ্কের সংযম হারিয়ে মাদক আসক্ত (সম্ভাব্য) এই সবুর স্থানীয় সংবাদকর্মী সুইটি সিনহা সহ উপস্থিত ২-৩জন সংবাদ কর্মীকে দালাল সহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে।তার উত্তেজিত আচারনের খন্ড চিত্র দেখলে বোঝা যায় কিছুটা হলেও মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি কোন রকম চলছেন চ্যানেল এস এর নাম ভাঙ্গিয়ে।সিএনজি চালক এর মধ্যে গাড়ীটি চালিয়ে চলে যেতে গেলে চোখে পড়ে প্রায় চলন্ত গাড়ীর নিচে পড়ে প্রান দিয়ে হলেও চাঁদা আদায় করতে হবে সবুর খান নামের এই চাঁদাবাজের।গাড়ী চলে গেলে ঐ স্থানে পাগলের মত এলোমেলো অসংলগ্ন কথা বার্তা বলে তার চাঁদাবাজি সফল না হলে দীর্ঘ সময় গাড়ী আটকে রাখাও ড্রাইভার কে হেনস্তার অপরাধ ঢাকতে অবলম্বন করেন ভিন্ন পন্থার।থানায় গিয়ে জানান গাড়ীটি মাদক ছিলো।অথচ তারই ১০মিনিট পরে তার সঙ্গীয় চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য পূনরায় এই গাড়ীটিকে আড়ৎ এলাকায় আটক করেন।আটক করে থানায় অবস্থান করা অবস্থায় সবুর খান কে জানালে যে দ্রুততার ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০হাজার টাকা সোহেলের মাধ্যমে মালিক রাকিব হোসেনের কাছে দাবি করে।রাকিব হোসেন দীর্ঘ সময় হেনস্থা হওয়ায় উপায় অন্তর না পেয়ে ৭০০০হাজার টাকা দিলে চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি সবুর খান টাকা নিয়ে ঐ স্থান ত্যাগ করে চলে যান।দীর্ঘ ২ঘন্টা গাড়ী আটক করে রাখা ও বারবার গাড়ীর চালককে হেনস্তা করা সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে দূর ব্যবহার এছাড়াও বক্সীবাজার থেকে ৭-৮বস্তা পলিথিন এর গাড়ীর পিছু নিয়ে তাকে প্রশাসন ছাড়া আটক করে রাখা এসকল আচারন কি কোন স্যাটেলাইটের প্রতিনিধির আচারন হতে পারে?এমন সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় সচেতন মহলের মনে।

এই যদি হয় স্যাটেলাইটের সাংবাদিক এর কাজকর্ম তাহলে জনসাধারণ আস্থা রাখবে কার উপর বলে দুঃখ প্রকাশ করেন যাত্রাবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ীরা।একজন ব্যবসায়ী বলে ফেলেন এসকল চ্যানেল হতে অনিয়ম করে টাকার বিনিময়ে এমন অসভ্য, অসৎ,ও নীতিহীন, নেশাখোর সংবাদকর্মী কার্ড বহন করছেন অন্যথায় স্যাটেলাইট টেলিভিশন তার মত ব্যক্তিকে কার্ড দেয় কি করে? নূন্যতম যোগ্যতা নেই তার যেমনি মূল ধারার সাংবাদিকদের থাকার কথা ছিলো বা থাকে।কারন হিসাবে উল্লেখ্য চ্যানেল এস এর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পূনরায় ঐ গাড়ী আটক করা ও ৭০০০টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়াই যথেষ্ট বলে মনে করেন স্থানীয় সংবাদকর্মীগন।

নিউজটি আপনার স্যোসাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *